আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক:

সোনিয়া গান্ধীর পর দলের হাল কার হাতে! এনিয়ে দলের মধ্যে বহু ওঠাপড়া হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতে দল ছেড়েছেন দলের কিছু হেভিওয়েট নেতা। একপ্রকার দলে তোলপাড় হওয়ার পরই এবার কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। সোমবার ভোটগ্রহণ। লড়াইয়ের ময়দানে বর্ষীয়ান মল্লিকার্জুন খার্গে ও শশী থারুর। কংগ্রেসের ৯ হাজার প্রতিনিধি আগামিকাল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী বেছে নেবেন। দিল্লির পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে কংগ্রেসের অফিসে চলবে ভোটগ্রহণ।

টানা ২২ বছর পর এবার ফের গান্ধী পবিরারের বাইরের কেউ সভাপতি নির্বাচিত হবেন। ভোট নেওয়া হবে গোপন ব্যালটে। ফলপ্রকাশ ১৯ অক্টোবর অর্থাত্ বুধবার। কর্ণাটকের বেল্লারিতে ভোট দেবেন রাহুল গান্ধী। সভাপতি নির্বাচন নিয়ে খার্গে বলেন, সবাই জানে একবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে আমি উঠে এসেছি। তাই সবাইকে ভোটের জন্য আবেদন করছি। অন্যদিকে, শশী থারুর বলেন, সোনিয়া গান্ধী বলেছেন দলের জন্য এই ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি লড়াই করুন। আমি নিরপেক্ষ থাকব। যে সভাপতি পদে লড়াই করতে চায় সে লড়াই করতে পারে।
দিল্লিতে অল ইন্ডিয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদর দফতর ছাড়াও দেশের ৬৫ পোলিং বুথে ভোট নেওয়া হবে। কংগ্রের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান মধুসুদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। ব্যালটে টিক দিয়ে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। ভোট শেষ হওয়ার পর ব্যালট বক্স আসবে দিল্লির সদর দফতরে। দলের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এনিয়ে ষষ্ঠবার ভোট হচ্ছে। শেষবার ভোট নেওয়া হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সেনিয়া গান্ধী বিপুল ভোটে হারিয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদকে।

উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে লড়াই হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রার্থী পি সীতারামাইয়া বনাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। জয়ী হয়েছিলেন নেতাজি। স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালে সভাপতির পদে লড়াই করেছিলেন পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন ও আচার্য কৃপালিনি। জয়ী হন ট্যান্ডন। ১৯৭৭ সালের ভোটে নির্বাচিত হন ব্রহ্মানন্দ রেড্ডি। ১৯৯৭ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদে আসেন সীতারাম কেশরী।